লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
Advertisement
শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ চেষ্টায় স্কুলছাত্রীর (১৩) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ভাটরা বাজারে সমাজকল্যাণ সংঘের উদ্যোগে হত্যাকারী বাহারুল আলম বাহারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। এতে ভাটরা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারেও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
গতকাল রোববার (৯ আগস্ট) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরীর আদালতে আসামি বাহার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এতে বলা হয়, নিহত স্কুলছাত্রীর বড় বোনের ওপর ক্ষোভ-অভিমান থেকে বাহার কৌশলে তাকে (ছাত্রী) শনিবার বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাহার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে তার মৃত্যু হয়। জবানবন্দি প্রসঙ্গে রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন চৌধুরী এসব কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ সংঘের উপদেষ্টা নুরনবী মানিক, ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) নুরুল হুদা, বিল্লাল হোসেন, রেজাউল আশ্রাফ পলাশ, তানভীর হোসেন, সাদ্দাম ও সাব্বির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকারী ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, হত্যার ঘটনায় রোববার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আসামি বাহার ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের নাম উল্লেখ ও অচেনা ৪ জনের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে শনিবার রাতে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বাহারকে আটক করে পুলিশ।
বাহার বাউরখাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে ও ট্রাভেলস কর্মী। মৃত কিশোরী উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়ার এলাকার গ্রাম পুলিশ সদস্যের মেয়ে ও ভাটরাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
Advertisement
কাজল কায়েস/এমএএস/এমকেএইচ