চলচ্চিত্রের গানে তিনি ছিলেন নিয়মিত এক নাম। হাজার হাজার গান তিনি উপহার দিয়েছেন এখানে। তাই এফডিসিতে তিনি আসবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক ব্যাপার হলো তিনি এলেন নিথর দেহে। কোনো গানের কথা, সুর বা সংগীত নিয়ে নয়। এলেন শেষবারের মতো বিদায় নেবেন বলে।
Advertisement
আজ সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে এফডিসিতে পৌঁছায় কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর মরদেহ। চিরচেনা এফডিসি প্রাঙ্গণ তখন মেঘলা আকাশের নিচে যেন শোক চেপে রাখায় ব্যস্ত।
চারদিকে অনেক মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ। সবাই শেষবারের মতো প্রিয় মানুষটিকে দেখে নিচ্ছেন। কেউ কাঁদছেন প্রকাশ্যেই, কেউ চোখ মুছছেন গোপনে। কেউ কেউ স্মৃতিচারণ করছেন তাকে নিয়ে।
করোনার ভয় কাটিয়েও দেখা গেল চলচ্চিত্রের নানা পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষদের ভিড়। আলাউদ্দিন আলী বলে কথা। যার হাত ধরে এদেশের চলচ্চিত্র বহু গান উপহার পেয়েছে। তাকে শেষ বিদায় দেয়ার তাগিদ এড়ানো যায় কী করে!
Advertisement
আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টার পরে আলাউদ্দিন আলীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে এফডিসিতে। তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠিত হয় তার দ্বিতীয় জানাজা।
এখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানেই শেষ নিদ্রা যাবেন কিংবদন্তি।
এর আগে রোববার (০৯ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানী মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আলাউদ্দিন আলী। এরপর রাতে তার মরদেহ রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।
সোমবার সকালে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বনশ্রীর বাসায়। সেখানে বিটিভির সহকর্মী ও এলাকাবাসীর জন্য তাকে রাখা হয় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা অবধি। এরপর নেওয়া হয় খিলগাঁওয়ে আলাউদ্দিন আলীর আদি বাড়িতে। সেখানে তাকে শেষবার দেখেন শিল্পীর প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও অন্য স্বজনরা।
Advertisement
বাদ জোহর খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নূর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজা শেষে আলাউদ্দিন আলীকে শেষবারের মতো এফডিসিতে আনা হয়। এখান থেকে মরদেহ যাবে মিরপুর কবরস্থানে।
দাফনের আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
এলএ/এমকেএইচ