বদলে যাচ্ছে নার্সদের চিরাচরিত পোশাক। বর্তমানে ব্যবহৃত পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নার্সদের পোশাককে আরো আধুনিক ও আকর্ষণীয় করে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।বর্তমান প্রেক্ষাপটে নার্সদের ড্রেসকোড পরিবর্তনের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি ও সেবা পরিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) কে সদস্যসচিব করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মাধ্যে দেশি ও বিদেশি হাসপাতালে নার্সদের ব্যবহৃত পোশাক বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান পোশাকের পরিবর্তে মার্জিত, রুচিশীল, দেশীয় সংস্কৃৃতি ও কার্য সম্পাদনে সহায়ক পোশাক, রং ও ডিজাইন নির্ধারণ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।সাত সদস্যের কমিটির অন্যান্যরা হলেন- পরিচালক, সেবা পরিদফতর, রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজ গাজিপুর এর অধ্যক্ষ তাছলিমা বেগম, ফরিদা বেগম,ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার (মিডওয়াইফারি), ইউএনএফপিএ, ড.লুবানা আহমেদ, সিএফএমএইচআরএইচ প্রকল্প, ঢাকা ।এদিকে, পুরুষ ও মহিলা নার্সদের পোশাক কি হবে তা নিয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নার্সদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছে। বর্তমানে মহিলা নার্সদের পোশাক হলো সাদা শাড়ি, সাদা ক্যাপ, সাদা এপ্রোন ও সাদা জুতা । আর পুরুষ নার্সদের জন্য সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট, সাদা অ্যাপ্রোন ও সাদা/কালো জুতা বরাদ্দ রয়েছে।মহিলা নার্সদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তারা শাড়ি পরে ডিউটি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংকুলান না হওয়ায় ফ্লোরে ও বারান্দায় হাটু গেড়ে বসে রোগীদের ইনজেকশন পুশসহ বিভিন্ন সেবা দিতে হয়। শাড়ি পরে সেবা দিতে নানা সমস্যা হয় বলে জানান তারা । মূলত তাদের আপত্তির কারণেই নার্সদের নতুন করে কী পোশাক দেয়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় কমিটি।একজন মহিলা নার্স জানান, তারা শুনেছেন নতুন পোশাক হিসেবে শার্ট ও প্যান্ট দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। তারা বলেন, তাদের মধ্যে অনেক বয়স্ক ও বেশি ওজনের মহিলা নার্স রয়েছেন। প্যান্ট ও শার্ট পরতে তারা মোটেই স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করবেন না। এ পোশাক দেয়া হলে তারা মেনে নিবেন না বলে জানান তিনি।বাংলাদেশ ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএনএ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান জুয়েল এ প্রতিবেদককে জানান, কি ধরনের পোশাক হলে নার্সরা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন তা নিয়ে তারা নার্সদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন। আগামী সপ্তাহে তারা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে লিখিতভাবে প্রস্তাবনা দেবেন।তিনি আরো জানান, মেয়েদের জন্য তারা আকাশী সালোয়ার কামিজ, সাদা অ্যপ্রোন ও নেমপ্লেটসহ আইডি কার্ড এবং ছেলেদের জন্য সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট , সাদা অ্যাপ্রোন ও সাদা/কালো জুতা চাইবেন। তবে সবই তাদের প্রস্তাবনা। চূড়ান্তভাবে কমিটির সদস্যরাই গ্রহণযোগ্য পোশাক দেবেন বলে জানান তিনি।এমইউ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement