বরগুনার বামনায় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে এক এএসআইর গালে ওসির চড় মারার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, শুধু চড় নয় পুরো ঘটনারই তদন্ত করছেন তারা। ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যেই গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি কাজ শুরু করেছেন।
Advertisement
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলো, জেলার আমতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং পুলিশ অফিসের ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) মো. সোহেল।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সিফাতের মুক্তির দাবির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি এ কমিটির প্রধান। আগামী তিনদিনের মধ্যে আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেফতার ও কারাবন্দি শাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার (৮ আগস্ট) মানববন্ধন পণ্ড করার সময় কর্তব্যরত এক এএসআইকে চড় মারেন বরগুনার বামনা থানা পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন।
Advertisement
চড় মারার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বামনা থানা পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াস হোসেনের সমালোচনা করেন অসংখ্য মানুষ। এতে ভাবমূর্তি নষ্ট হয় খোদ পুলিশেরও। ওসি ইলিয়াস হোসেন (শত শত মানুষের সামনে যে এএসআইকে চড় মারেন তিনিও বামনা থানায় কর্মরত।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বলেন, বিকেলে বামনা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যার আমাকে ডেকেছিলেন। আমি তার কাছে যাওয়ার পর তিনি গতকালের ঘটনা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। এরপর আমি গতকালের ঘটনা স্যারকে খুলে বলেছি।
তবে এ বিষয়ে বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমএএস/জেআইএম
Advertisement