নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের চরতালিমাবাদ গ্রামের খামারি জাকির হোসেনের ৭০০ হাঁস একসঙ্গে মারা গেছে। হঠাৎ করে খামারের হাঁসগুলো ‘ডাক প্লেগ’ রোগে মারা যায়।
Advertisement
এতে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারি জাকির হোসেন। কীভাবে সংসার চলবে আর এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন তা নিয়ে দিশেহারা তিনি। পথে বসার উপক্রম হয়েছে তার। এজন্য কাঁদছেন জাকির।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে খামারি জাকির হোসেন বলেন, প্রতি বছর হাঁসের খামার করি। ডিম পাড়া শেষ হলে হাঁসগুলো বাজারে বিক্রি করে দেই। এ বছর দেড় হাজার হাঁসের বাচ্চা নিয়ে খামার করেছি। হাঁসগুলো আগামী কয়েক দিন পর ডিম দিতো। কিন্তু শুক্রবার থেকে হাঁস মরতে শুরু করে। দুদিনে ৭০০ হাঁস মারা যায়। খবর নিয়ে জেনেছি ‘ডাক প্লেগ’ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাঁসগুলো মারা গেছে। বাকি হাঁসগুলোও মারা যাবে। এতে করে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে আমার।
জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমার খামারে ৭০০ হাঁস আছে। ভ্যাকসিন দিয়েও হাঁসগুলো বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাঁস। বোধহয় একটা হাঁসও এবার বাঁচবে না। আমার সব শেষ হয়ে গেল।
Advertisement
সোনারগাঁ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হাবীব বলেন, জালকুড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে ‘ডাক প্লেগ’ রোগের বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন খামারি। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরবর্তীতে তাকে ঋণ সুবিধা দেয়া যেতে পারে।
শাহাদাত হোসেন/এএম/এমকেএইচ