রাজধানীর মিরপুরের পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণে তদন্তের ঘটনায় বদলি করা হয়েছে তাদের। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুইটি পৃথক আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
Advertisement
একটি আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদকে ডিএমপির প্রোটেকশন বিভাগে, পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. মিজানুর রহমানকে ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ফিরোজ কাউছারকে ডিএমপির ওয়েলফেয়ার ও স্পোর্টস বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
পৃথক একটি আদেশে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামকে প্রসিকিউশন বিভাগে, পল্লবীর ইন্সপেক্টর-তদন্ত অফিসার মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগে এবং ইন্সপেক্টর-অপারেশন্স অফিসার মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামকে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
২৯ জুলাই সকাল সাতটার দিকে পল্লবী থানার ভেতর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পল্লবী থানার পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। গত মঙ্গলবার রাতে পল্লবী থানার পুলিশ পল্লবী-কালশী কবরস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে তিন ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি গুলি ও একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিনের মতো ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
সেগুলো থানার ডিউটি অফিসারের রুমে রাখা হয়। সেদিন সকালে ডিজিটাল ওজন মেশিনের মতো ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়। বোমা বিস্ফোরণে থানার দ্বিতীয় তলার একটি ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। ডিজিটাল ডিভাইসটির মধ্যে দুটি তাজা বোমা রাখা ছিল।
বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিরা হলেন- পল্লবী থানার পরিদর্শক (অভিযান) ইমরানুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব খান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুমি বেভরেজ হায়দায়, শিক্ষানবিশ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অঙ্কুর কুমার ও বেসামরিক ব্যক্তি রিয়াজুল ইসলাম।
দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বোমার বিষয়ে মিরপুর বিভাগ ও পল্লবী থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগে থেকেই অবগত ছিলেন বলে তদন্ত উঠে এসেছে। তাই তাদের সরিয়ে দেয়া উঠেছে।
Advertisement
এআর/এমআরএম