আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক বাদল অপসারিত

বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য লুৎফর রহমান বাদলকে অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাকে অপসারণ করেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ব্যাংক-কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৮ (১) ধারায় আওতায় গঠিত স্থায়ী কমিটির রির্পোটের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এই পরিচালককে অপসারণ করেছেন।এর ফলে লুৎফর রহমান আগামী তিন বছর কোনো ব্যাংক-কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংসগ্রহণ করতে পারবেন না। লুৎফর রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের নির্বহী কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষথেকে বলা হয়, আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় দায়েরকৃত নাশকতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার ছড়ানোর লক্ষ্যে অর্থ সরবারহ অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে আদালতে পমাণিত হয়েছে।

বিদেশে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। এই ব্যাক্তি ব্যাংকের পর্ষদে অধিষ্ঠিত থাকায় ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।পলাতক থাকার কারণে গত ১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ১৮টি পর্ষদ সভার কোনোটিতেই অংশগ্রহণ করতে পারেননি।তার অনুপস্থিতির কারণে ১৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখের পরহতে অদ্যাবধি নির্বাহী কমিটির কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এমন কি ঝুঁকি ব্যবস্থপনা কমিটির সভাও

অন্যান্য পরিচালক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া অনুপস্থিতির কারণে আইএফআইসি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির সভা হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এপ্রেক্ষিতে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ ও আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ব্যাহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৯ অক্টোবর আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য লুৎফর রহমানকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এ আদেশের দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হলে লুৎফর রহমান ব্যাংক-কোম্পানি আইন ১৯৯১ ৪৮(২) ধারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নিকট আপিল করতে পারবেন।এসআই/এসএ/এসকেডি/আরআইপি