যানজট নিরসন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন কমাতে নভেম্বর মাস থেকে আগামী এক বছরে ৫২ সীটের ১ হাজার বাস তৈরি করবে ইফাত গ্রুপের ‘ইফাত অটোস’। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইফাত নির্মিত নতুন বাসের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ আর মিষ্টি কথায় ভুলে না। আমাদের কাছ থেকে মানুষ কাজ চায়। আমার ছুটাছুটির কোনো মূল্য থাকবে না যদি কাজ করতে না পারি। মন্ত্রী বলেন, ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণে কোনো রাস্তা নেই। ঢাকার রাস্তা দেখে মানুষ আামাকে ফোন দেয়। কিন্তু আমি কি বলবো? রাজধানীর রাস্তা তো আমার আন্ডারে না। তিনি আরও বলেন, রাস্তায় বের হলেই দেখি সারি সারি ফিটনেসবিহীন যানবাহন। এসব যানবাহনে রাস্তায় যানজটেরও একটা কারণ। আমরা রাস্তায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন নামানো বন্ধ করতে চাই। সে জন্য দরকার ভালো বাস। ইফাত সুনামের সঙ্গে দেশে পরিবহন সেক্টরসহ সবক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে চলেছে। ইফাতের চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে ওয়াদা করেছেন নভেম্বর থেকে আগামী এক বছরে ৫২ সীটের ১ হাজার বাস তৈরি করবেন। আর এসব নতুন বাস রাস্তায় নামানো হবে। এ সময় মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজনের ব্যস্ততার জন্য হাজারো ব্যস্ত মানুষকে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে কেন? আমি নিজের উপরেই ক্ষুব্ধ। নামে বেনামে ভিআইপি’দের কারণে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। অনুষ্ঠানে ইফাত গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু সভাপতিত্বে বক্তব্যে বলেন, দেশে বিলাসবহুল পরিবহনের চাহিদা বাড়ছে। পথের ক্লান্তি আর থাকবে না। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এয়ার সাসপেনশন বিলাসবহুল এসি, নন এসি বাসের বডি তৈরির কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ইফাত গ্রুপের ‘ইফাত অটোস’। ঢাকার ধামরাইয়ে ইফাতের নিজস্ব কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ উন্নত ও বিলাসবহুল গাড়ির বডি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে তেমনি অন্যান্য ক্রেতা সাধারণও সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি ক্রয় করতে পারবেন বলেও জানানো হয়। বিশ্বের ১৬টি দেশে ইফাদের অন্যান্য পণ্য রফতানি হচ্ছে। এছাড়া আরও ২২টি দেশে রফতানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান ইফতেখার আহমেদ টিপু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইফাতের বাণিজ্যিক পার্টনার ভারতের লেল্যান্ডের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট বালাচন্দ্রান ভেনকাট সুব্রামানিয়াম বলেন, ইফাত আমাদের শক্তিশালী পার্টনার। দেশের জন্য তারা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা তাদের সহযোগীতায় প্রত্যয়বদ্ধ। আফ্রিকা ও সৌদিতে আমাদের তৈরি পরিবহণসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতের সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাবো। সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।জেইউ/আরএস/আরআইপি
Advertisement