প্রাদুর্ভাবস্থল হওয়া সত্ত্বেও অন্য অনেক দেশের তুলনায় দ্রুতই গতি ফিরছে চীনের অর্থনীতিতে। গত বছরের তুলনায় জুলাইয়ে দেশটির রফতানি অনেকটা বেড়েছে। তবে আমদানি কমলেও কিছু কাচামালের আমদানি ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। এমন সূচক দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার স্থায়ী হওয়ার আশা জোগাচ্ছে।
Advertisement
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে ডলারের হিসাবে চীনের রফতানি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে আমদানি কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। গত জুনে এক বছর আগের তুলনায় চীনের রফতানি বাড়ে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও বিশ্লষকেদের আশঙ্কায় দেড় শতাংশ কমার ইঙ্গিত ছিল।
জুলাইয়ে চীনের রফতানি গত বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমবে, অন্যদিকে আমদানি বাড়বে ১ শতাংশ—অর্থনীতিবিদরা এমন পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে সেই পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে রফতানি ব্যাপক বেড়েছে। জুনে দেশটির আমদানি ১০ শতাংশ কমবে বলে পূর্বাভাস দিলেও তা ২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ে।
রয়টার্স বলছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি রেকর্ড সংকোচনের মুখে পড়লেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে লকডাউন বিধিনিষেধ জারিতে চাহিদা কমে যাওয়ায় আপাতত অর্থনীতির এই পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ভঙ্গুরই থেকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
বিশ্লেষকরা যতটা আশঙ্কা করেছিলেন কিংবা পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনীতি অতটা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। দেশটির অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ায় আরও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার মতো জরুরি অবস্থা আর নেই। বৈদেশিক বাণিজ্যও বেশ গতি পেয়েছে।
এসএ/পিআর