লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে একজন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মনির শিকদারের ছেলে রেজাউল আমিন শিকদার। থাকতেন বৈরুতের বন্দর সংলগ্ন ডাউনটাউন এলাকার আলভোর শহরে। কাজ করতেন একটি পেট্রল পাম্পে। রেজাউলের মৃত্যুর খবরে তার পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম।
Advertisement
ঘটনাস্থলের দূরে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন রেজাউলের ভাই মাহবুব। তবে ওই বিস্ফোরণে আরও নিহত হয়েছেন রেজাউলের এক মামা জসিম উদ্দিনের ভাতিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের রাসেল। জসিম উদ্দিন বুধবার (৫ আগস্ট) গভীর রাতে বৈরুত থেকে পরিবারের কাছে ফোন করে রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) নিহত রেজাউলের গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজনসহ গণমাধ্যম কর্মীরা। তার মরদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষক পরিবারের সন্তান রেজাউল দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িতে পাকা ঘর তৈরি করেছেন। দুই বোন তিশা আক্তার ও লিমা আক্তারকে বিয়ে দিয়েছেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম। রেজাউল চার বছর আগে তার ছোট ভাই মাহবুব শিকদারকেও লেবাননের বৈরুতে নিয়ে যান। মাহাবুব আলাইয়া এলাকায় থেকে পেট্রল পাম্পে চাকরি করেন। বৈরুতে রেজাউলের এক মামা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের জসিম উদ্দিনও থাকেন। সেই জসিমই মোবাইল ফোনে রেজাউলের মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানান।
Advertisement
রেজাউলের চাচাতো ভাই সেলিম শিকদার জানান, বন্দর এলাকা থেকে দূরে অবস্থানের কারণে অক্ষত থেকে যায় ছোট ভাই মাহবুব শিকদার। বড় ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে বৈরুতের বাসায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মাহবুব। সঙ্গে থাকা মামা জসিমের কোনো সান্ত্বনায় শান্ত হচ্ছেন না তিনি।
নিহত রেজাউলের বাবা মনির শিকদার বলেন, রেজাউলের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামাল উদ্দিন/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement