পরিচিত মশলার মধ্যে আদা অন্যতম। প্রায় প্রতিদিনের রান্নায় আদার উপস্থিতি থাকে। আদা চা এর উপকারিতা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়! অনেকরকম অসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে এই আদা। আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী মশলা হিসেবেও পরিচিত। মহামারীর এই সময়ে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন পাতে আদা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।
Advertisement
এদিকে আদা দীর্ঘদিন ঘরে রাখলে তা নষ্ট হয়ে যায়। আবার নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ফ্রিজে রাখলেও আদা দ্রুত শুকিয়ে যায়। আদা সংরক্ষণ নিয়ে এমন সমস্যায় পড়েন বেশিরভাগই। আবার প্রতিদিন আদা কিনতে বাজারে যাওয়াও নিশ্চয়ই কাজের কথা নয়। এমন অবস্থায় করণীয় কী? চলুন জেনে নেয়া যাক-
বাজার থেকে শাক-সবজি এনে ফ্রিজে রাখার আগে নিশ্চয়ই ভালো করে ধুয়ে তারপর রাখেন? এমনটা করতে পারেন আদার ক্ষেত্রেও। ফ্রিজে রাখার আগে আদা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর মুছে ফ্রিজে রাখুন। এতে আদা সহজে পচবে না, ভালো থাকবে অনেকদিন।
একসঙ্গে অনেক আদা কিনে আনলে তা ফ্রিজেই রাখতে হবে। নয়তো পচে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে কখনোই ফ্রিজের অন্যান্য শাক-সবজি বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে রাখবেন না। আদা রাখতে হবে আলাদা।
Advertisement
আপনি যদি অনেকটা আদা একসঙ্গে কিনে আনেন তাহলে অবশ্যই তা ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজের মধ্যে অন্যান্য সবজি বা খাবারের সঙ্গে আদা রাখবেন না। একটি এয়ার টাইট বাটি বা জিপলক ব্যাগে ভরে আদা রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত আদা সতেজ থাকবে।
বাড়িতে জিপলক ব্যাগ না থাকলে আদার খোসা না ছাড়িয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এবারে একটি কাগজের ঠোঙায় বা টিস্যু পেপারে মুড়ে রেখে দিন। আদা অন্তত পাঁচ-ছয় দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
বেশ খানিকটা আদা বেটে আইস ট্রে-তে রেখে জমিয়ে নিন। আদা বাটা জমে গেলে একটা এয়ার টাইট বক্সে আদা কিউবগুলো রেখে দিন। প্রয়োজনমতো একটা-দুটো কিউব ব্যবহার করুন। এভাবেও আদা অনেকদিন ভালো থাকবে।
আদা ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর একটি এয়ার টাইট বক্সে রেখে উপর থেকে লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। বক্সের ঢাকনা বন্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিলে বেশ অনেক দিন পর্যন্ত আদা সতেজ থাকবে।
Advertisement
এইচএন/এএ/এমকেএইচ