দুই শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি, পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা, মেজর (অব.) সিনহা হত্যার সুষ্ঠু তদন্তসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান নির্মমভাবে খুন হয়। তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থানরত তার সঙ্গে সহকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্স চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং নির্মাতা শিপ্রা রাণী দেবনাথ। যাদেরকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আটক করা হয়েছে।
তারা বলেন, সহপাঠী সিফাত ও শিপ্রার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হওয়ায় মানববন্ধনে যুক্ত হয়েছি। সহপাঠীদের নিঃর্শতে মুক্তি দিতে হবে। তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে সেই নিশ্চিয়তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
এ সময় শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- শিপ্রা ও সিফাতের সার্বিক নিরপত্তা ও নিঃশর্ত মুক্তি, মেজর (অব.) সিনহা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আটককৃত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ তাদের মানসিক প্রহসন থেকে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সান্ত জাগো নিউজকে বলেন, শিপ্রা ও সিফাত আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী। মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যা করে দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলা আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত তাদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দুই সহপাঠীকে মিথ্যা মামলায় জেলে নেয়ার পর তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর নানা ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের উপর এক ধরনের প্রহসন চালানো হচ্ছে। মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। পাশাপাশি দুই সহপাঠী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানানো হয়।
এমএইচএম/এএইচ/জেআইএম
Advertisement