একদিকে করোনাভীতি, অন্যদিকে হাজার কোটি রুপি ক্ষতির আশঙ্কা- অদ্ভুত এক দোটানার মধ্যেই পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। শেষপর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্থিক ক্ষতি না করার ব্যাপারেই। তাই ছয় মাস পিছিয়ে হলেও, আইপিএলের ১৩তম আসর আয়োজন করতে চলেছে তারা।
Advertisement
তবে করোনা সতর্কতার কারণে ভারতের বদলে আরব আমিরাতে হবে আইপিএলের এবারের আসর। দেশটিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার তুলনামূলক কম হওয়ায় এটিকেই বেছে নিয়েছে আয়োজক সংস্থা বিসিসিআই (বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া)। দীর্ঘ ৫৩ দিন ধরে তিনটি ভেন্যুতে হবে আইপিএলের ৬১টি ম্যাচ।
কিন্তু করোনার বিস্তার যত কমই থাকুক, যেহেতু বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিকেটাররা এসে অংশ নেবেন আইপিএলে; তাই কোনোভাবেই নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই আয়োজকদের। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে অন্যতম কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের মালিক নেস ওয়াড়িয়ার মতে, আইপিএলের সর্বনাশ করতে শুধু একজন করোনা আক্রান্ত হওয়াই যথেষ্ঠ হবে।
বার্তাসংস্থা পিটিআইকে ওয়াড়িয়া বলেছেন, ‘আশপাশে অনেক কথাই শোনা যাচ্ছে। আমি মনে করি এগুলো হাস্যকর। মূল বিষয় হলো, আমরা দল মালিকরা জানি যে আইপিএল হচ্ছে। খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। একজনও করোনা আক্রান্ত হলে আইপিএলের সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
Advertisement
এদিকে গত জুনে লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের সংঘর্ষের কারণে আইপিএলের মূল স্পন্সর ভিভো সরে দাঁড়িয়েছে এবার। তারা আবার ২০২২ সালে আসবে আইপিএলের স্পন্সর হয়ে। ফলে এখন স্পন্সরশূন্য অবস্থায় আছে আইপিএল। পাঞ্জাবের মালিক এতে অবশ্য মোটেও চিন্তিত নন।
তার ভাষ্য, ‘আমি জানি না টাইটেল স্পন্সরশিপের ব্যাপারে কী করেছে বিসিসিআই। সব দল মালিকদের মধ্যে দারুণ সভা হয়েছে এবং সবাই মিলে সফল আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের সমর্থন প্রয়োজন এবং শিগগিরই আবার সভা করা হবে।’
এবারের আইপিএল ইতিহাসের সেরা হবে ভবিষ্যদ্বাণী করে ওয়াড়িয়া আরও বলেন, ‘সব স্পন্সররাই চেষ্টা করবে নিজেদের নাম জুড়ে দিতে। আমি নিজের নাম বদলে রাখব যদি এবারের আইপিএল সবচেয়ে বেশি দেখা আসর না হয়। আমার কথা লিখে রাখুন, এবারের আইপিএল হবে ইতিহাসের সেরা। স্পন্সররা এর অংশ না হলে বোকামিই করবে।’
এসএএস/পিআর
Advertisement