আন্তর্জাতিক

করোনা : স্কুল বন্ধের ক্ষতি প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে

করোনা মহামারির কবলে পড়ে সারা বিশ্বেই জীবনব্যবস্থা হয়েছে বিপর্যস্ত। এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রায় সব দেশেই লকডাইনের মতো কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসা-বাণিজ্য আবার স্বাভাবিক ধারায় ফেরানোর চেষ্টা চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই রয়েছে। আর এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা উঠে এল জাতিসংঘ মহাসচিবের কথায়।

Advertisement

জাতিসংঘ মহাসচিব হুয়ান আন্তনিও গুতেরেস বলছেন, এর ক্ষতিকর প্রভাব প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে। তিনি বলেন, আমরা এমন এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যার প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পড়তে পারে, যা মানবজাতির অন্তর্গত সম্ভাবনা নষ্ট করতে পারে, বিগত দশকগুলোর উন্নতির ধারাকেও ব্যহত করতে পারে।

এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, মধ্য জুলাইয়ে ১৬০টিরও বেশি দেশের স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বিশ্বের মোট শিক্ষার্থীর ৯৪ ভাগই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের শতকরা ৯৯ ভাগই নিম্ন বা নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের।

শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়ায় লম্বা সময়ের ব্যাঘাতের কারণে শিশুদের পুষ্টিহীনতা, বাল্যবিবাহ এবং লিঙ্গ বিষম্য বেড়ে যেতে পারে বলেও মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

ভিডিও বার্তায় বিভিন্ন দেশের সরকারকে শিশুদের স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে সহায়ক একটি নীতিমালাও উপস্থাপন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

এনএফ/পিআর

Advertisement