লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও চার হাজারের বেশি মানুষ। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকা থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Advertisement
এদিকে, বৈরুতে এই বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন দেশ লেবাননের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লেবাননকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান।
দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কারিম হেম্মাতি জানিয়েছেন, বৈরুতে প্রথম ধাপে দুই হাজার প্যাকেট খাবারের পাশাপাশি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় নয় টন ওজনের খাবারের প্যাকেট পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, বৈরুতে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবে ইরান। সেখানে ২২ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে ওই চিকিৎসক দলটি বিমানযোগে বৈরুতে পৌঁছেছে। চিকিৎসক দলে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়েছে। তারা অপারেশনেও সহযোগিতা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
Advertisement
এর আগে কারিম হেম্মাতি লেবাননের রেড ক্রসের প্রধান জর্জ কাতানেহের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। লেবাননের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ইরানের মানবিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে। এই মুহূর্তে তাদের এ ধরণের সহযোগিতার খুব প্রয়োজন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর বৈরুতের বন্দরের পাশের একটি গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শতাধিক নিহত ও আরও চার হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে কাতার, ইরাক ও কুয়েত। বৈরুতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট দুটি ফিল্ড হাসপাতাল পাঠাবে কাতার এবং তেল পাঠাবে ইরাক।
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি এক টুইট বার্তায় বলেন, তিনি লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল ওনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি লেবাননের পাশে থাকার এবং তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
Advertisement
অপরদিকে কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল জাবের আল-সাবাহ লেবাননে জরুরি মেডিকেল সহায়তা পাঠাতে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
টিটিএন