করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম। দীর্ঘ ৪ মাস ১০ দিন পর নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। আদালত চত্বরে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের আসা-যাওয়া বেড়েছে। তবে অধিকাংশ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আদালতে প্রবেশের সময় পরীক্ষা করা হয় না তাপমাত্রা। অধিকাংশ আদালতে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। এতে আতঙ্কিত আদালত সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
বুধবার (৫ আগস্ট) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) প্রবেশ পথে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। নেই তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকেই।
নাম না প্রকাশ সত্ত্বে আদালতে কর্মরত পুলিশের এক পরিদর্শক বলেন, ‘আদালত খুলে দেয়া মনে হয় ঠিক হয়নি। আদালতে দেশের সব জায়গা থেকে লোক আসেন। আদালত এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা মনে হয় বেড়ে যাবে।’
নাম না প্রকাশ সত্ত্বে আদালতে কর্মরত পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক বলেন, ‘অধিকাংশ আইনজীবী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। দেশের এই পরিস্থিতিতে আদালত খুলে দেয়া মনে হয় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
Advertisement
আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘চার মাস পর আদালতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আইনজীবী প্রত্যেকেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এ প্রত্যাশা আমার।’
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মিত আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু করার বিষয় সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাইকে হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে ৩০ জুলাই জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ গত ২৬ মার্চ থেকে নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দুদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
Advertisement
জেএ/এফআর/এমকেএইচ