সিলেট মহানগরের নোয়াগাঁও গ্রামের আলিম উদ্দিনের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় আজিজুর রহমানের বোনের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার বোনকে অমানুষিক নির্যাতন করে আসছেন বোনের জামাই আলীম উদ্দিন।
Advertisement
তাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য ১০ বোতল মদ রেখে নাটক সাজানোর চেষ্টা করেন আজিজুর রহমান। বিষয়টি টের পেয়ে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে গ্রেফতারদের জেলহাজতে পাঠায়।
সোমবার (০৩ আগস্ট) বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, রোববার (০২ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে জালালাবাদ থানার নোয়াগাঁও শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে আলীম উদ্দিনের বাসায় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। পুলিশের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ইমরান ও আহমদ রায়হান নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার বিস্তারিত জানান।
Advertisement
ইমরান ও রায়হান পুলিশকে জানান, টাকার বিনিময়ে তারা নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার আজিজুর রহমানের কথামতো মদের বোতলগুলো শহরতলির শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে আলীম উদ্দিনের নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় রাখার পর পুলিশকে খবর দেন। এরপর রাতেই ঘটনার মূল হোতা মদিনা মার্কেটস্থ আহমদ কমপ্লেক্স থেকে আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজিজুর রহমানকে গ্রেফতারের পর ঘটনার রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন দুলাভাই আলীম উদ্দিনকে শিক্ষা দেয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যায় মান্নান ওরফে পাগলার কাছ থেকে ১০ বোতল মদ কিনে নিজ বাড়িতে এনে রাখেন। পরবর্তীতে ইমরান ও আহমদ রায়হানের সহযোগিতায় দুলাভাই আলীম উদ্দিনকে ফাঁসানোর জন্য মদ ঘটনাস্থলে নিয়ে রেখে পুলিশকে খবর দেন। বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করেছেন আলীম।
গ্রেফতারকৃত ইমরান, আহমদ রায়হান ও আজিজুর রহমানকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানা পুলিশের ওসি অকিল উদ্দিন বলেন, আজিজুর রহমানসহ তিনজনকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এএম/পিআর