অগ্রহায়ণ মাস আসলেই বেড়ে যায় কুলার কদর। কাটাই-মাড়াইয়ের পর ধান থেকে ধুলা পরিস্কার করতে কৃষকের প্রয়োজন হয় কুলার। কুলার সঙ্গে কৃষকের কাছে কদর বেড়েছে বাঁশের তৈরি ঝুড়ির। সামনে অগ্রহায়ণ মাস। রাজশাহী অঞ্চল জুড়ে গ্রামের হাটগুলোতে তাই কুলা বিক্রির ধুম পড়েছে। আদিবাসী নারীরাই এসব জিনিস তৈরি করছেন। তাদের শৈল্পিক হাতে নিপুণ বুননে তৈরি হয়ে থাকে এসব দ্রব্য।রাজশাহী অঞ্চলের হাটগুলোতে বাঁশের তৈরি কুলা, ডালি বিক্রি বেড়ে গেছে। বছরে সব সময় এসব জিনিস বিক্রি হলেও অগ্রহায়ণের আগে কুলা ও ডালির কদর বাড়ে। বিক্রির পরিমাণও বেড়ে যায়।কুলা ও ডালির পাশাপাশি বাঁশের তৈরি মাছ ধরা ছুটি, পলই, ঝাঁকাসহ বিভিন্ন উপকরণও হাটে বিক্রি হয়ে থাকে। বরেন্দ্র অঞ্চলে ৮০ ভাগ আদিবাসিরা এগুলো তৈরি করেন।গোদাগাড়ি হাটে বাঁশের তৈরি কুলা বিক্রেতা কাকলী মার্ডী জাগো নিউজকে জানান, সপ্তাহ ধরে ছেলের সঙ্গে ১৮টি কুলা তৈরি করেছেন। এসব কুলার বাজার মুল্য ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে আয় হয়ে থাকে ৩শ থেকে ৪শ টাকা। আগে তাদের গ্রামের বেশিরভাগ নারীরা এসব জিনিস তৈরি করতেন। কিন্তু খাটুনির তুলনায় আয় কম হওয়ার কারণে অনেকেই এ পেশা থেকে সরে এসেছেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন এ পেশায় জড়িত।কাকলী মার্ডী আরো জানান, তিনি সারা বছরই এসব জিনিস তৈরি করেন। কিন্তু অগ্রহায়ণ মৌসুমে এর চাহিদা বেশি থাকে। তানোরের কৃষক তুহিন সরদার জাগো নিউজকে জানান, সামনে ধান কাটা মৌসুম আসছে। গত বছরের কুলাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সে কারণে তিনি হাটে এসেছেন কুলা কিনতে। প্রতি কুলা ৫০ টাকা দরে কিনেছেন। একই উপজেলার ময়েনপুর গ্রামর কৃষক জুনায়েদ জাগো নিউজকে জানান, হাটে কুলা কেনার উদ্দেশ্যে তিনি এসেছেন। আগামী কয়েক সপ্তার মধ্যেই ধান উঠবে। সেজন্য কুলা কিনছেন তিনি।শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস
Advertisement