জাতীয়

আবাসিক হোটেল সেবা নয়, ভাতা পাবেন করোনার চিকিৎসকরা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসিক হোটেলের বিল পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ফলে এখন থেকে যারা হোটেলে অবস্থান করবেন, তারা নিজ খরচে অবস্থান করতে হবে। আর্থিক নীতি অনুসরণ করে পরবর্তীতে তাদের নির্ধারিত ভাতা প্রদান করা হবে।

Advertisement

গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি হয়।

পরিপত্র জারির পর বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসকদেরকে হাসপাতাল অবস্থান না করার অনুরোধ জানিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে। এ ধরনের অফিস আদেশ জারির ফলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা খাতে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তারা বলছেন, হঠাৎ করে হোটেল ছেড়ে তারা কোথায় যাবেন? হোটেলের বিকল্প তো বাসা হতে পারে না, কারণ বাসায় গেলে পরিবারের অন্যদেরও কারণে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আছে, বিকল্প আবাসন নিশ্চিত না করে ডাক্তারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের এমন বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার অর্থ কী?

Advertisement

পরিপত্র অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার মধ্যে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসকরা দৈনিক ২ হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৮০০ টাকা ভাতা পাবেন। একইভাবে নার্সরা ঢাকার মধ্যে এক হাজার ২০০ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ঢাকার মধ্যে ৮০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আবাসিক হোটেলে না থেকেও অনেকে হোটেলের বিল তুলে নিয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। ওইসব নানা অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারের খরচ কমাতে পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত ভাতা প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এমইউ/এফআর/এমএস

Advertisement