বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Advertisement
শনিবার (১ আগস্ট) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে ফিরোজার বাসার বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রধানের এ বার্তার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা পরবর্তী যে সমস্যা দাঁড়াবে সে জন্য তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব নেতাকর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।’
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম এতোই অসুস্থ নিজেও বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাঁটতেও পারেন না।’
Advertisement
‘আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না এখান যে পরিস্থিতি চলছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থা ভালো না।’
কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘আমরা কথা বলেছি, ঈদের দিনে যেসব কথা বলা হয়। এতোদিন ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি, সকলের সুখে-দুঃখের কথা-বার্তা আছে।’
‘আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমাদের দলেরই অনেক নিবেদিত প্রাণ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের সন্তানের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সব কিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ এবং বন্যার বর্তমান যে অবস্থা, দেশের অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে-সে সম্পর্কে বিষদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের আর কিছুদিন পরে কী অবস্থা দাঁড়াবে সে নিয়ে কথা হয়েছে।’
Advertisement
দল যাতে সঠিক ভাবে চলতে পারে তার নিয়েও দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘দেশে বর্তমান যে করোনা পরিস্থিতি, বন্যা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক যে অবস্থা –এটা তো স্বাভাবিক নয়। এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে উনার বিরুদ্ধে, দেশের সব মানুষের বিরুদ্ধে বিশেষ করে যারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমা, জেল-জুলুম চলছে। এর মধ্যে তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন।’
খালেদা জিয়ার নির্বাহী আদেশে মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা প্রায় কাছকাছি চলে এসেছে পরবর্তী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ বিষয়টা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। সময় আসলে আলোচনা হবে।’
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজায়’ রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ সাক্ষাৎ হয়। ‘ফিরোজায়’ প্রবেশের পর নেতারা পিপিই পরে দোতলায় ড্রংয়িং রুমে বসেন। সেখানে এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এএইচ