ঢাকার ধামরাইয়ে বন্যার পানিতে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরও তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (০১ আগস্ট) দুপুরে ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মান্দারচাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো, ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মান্দারচাপ গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে শিখা আক্তার (১৪) ও আবদুল হালিমের মেয়ে মিম আক্তার (১৩)। তারা দুজনই স্থানীয় জামাল উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত স্কুলছাত্রী শিখার চাচা সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের চারপাশ বানের পানি থাকায় শনিবার দুপুরে তার ভাতিজি শিখা নিজের বান্ধবী মিম, রিয়া ও তামান্নাকে নিয়ে একটি ডিঙ্গি নৌকায় করে ঘুরতে বের হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর তারা নৌকার ওপরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। এসময় প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি কাত হয়ে ডুবে গেলে রিয়া ও তামান্না সাঁতরে পাশের রাস্তায় উঠতে সক্ষম হয়। সাঁতার না জানায় ডুবে যায় শিখা ও মিম। এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। এদিকে ঘটনা শুনে দ্রুত থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধামরাই থানা পুলিশ। পরে দ্রুত তাদেরকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. নূর রিফফাত আরা দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধামরাই উপজেলা ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে পাঁচ শিক্ষার্থী বন্যার পানিতে নৌকা নিয়ে বেড়াতে গেলে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় এবং বাকি ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
Advertisement
ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। পরে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মিম ও শিখার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া সাঁতার না জানলে সকলকে পানিতে না গিয়ে নিরাপদস্থানে অবস্থান করতে অনুরোধ করেন তিনি।
আল-মামুন/এমএএস/পিআর