দেশে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর তালিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২১ জনের নাম। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী ৫ জন। ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৩২ জন।
Advertisement
শনিবার (০১ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৬৬৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৮ হাজার ৮০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৬১১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ১১৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৩ জনে।
বুলেটিনে জানানো হয়, একদিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
Advertisement
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব আটজন এবং সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন ও আশির্ধ্ব একজন রয়েছেন। বিভাগ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে নয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।
বৈশ্বিক সর্বশেষগোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাত লাখ ১৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
এমইউ/পিডি/এমআরএম/এমএস
Advertisement