আইন-আদালত

ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় বুধবার আরো ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষীরা হলেন- গোলাম কিবরিয়া ও আব্দুর রশিদ।এ মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানীসহ আট আসামি রয়েছে।ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইদ আহমেদ স্বাক্ষীদের এ জবানবন্দী গ্রহণ করেন।সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামি ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এ পর্যন্ত এ মামলায় ৫৫ জন্যের মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন গত ১৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ১১ মে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২১ মার্চ নতুন করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ দিন মামলার প্রধান আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রানা মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।গত বছরের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানীর জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।গ্রেফতার হওয়া নর্থ-সাউথের সাত শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ, আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দি এবং তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, জসীমউদ্দিন রাহমানীর বই পড়ে এবং সরাসরি তার বয়ান ও খুতবায় অংশ নিয়ে নাস্তিক ব্লগারদের খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্লগার রাজীব খুন হন। মামলার অভিযোগপত্রে রাহমানীকে হত্যাকাণ্ডে অনুপ্রেরণাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।দুর্বৃত্তরা ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পল্লবীর পলাশনগরে নিজ বাসার সামনে ব্লগার রাজিব হায়দারকে খুন করে।একে/এমএস

Advertisement