কোরবানির ঈদের ঠিক আগে আগে শেষ বেলায় দা, বটি, চাকু, কুড়াল, শিলপাটা ধার বা শান দেয়ার ব্যস্ততা বেড়েছে। আর এ জন্য রাজধানীর অলিগলিতে এসব কাজে যুক্ত লোকদের হাঁকডাক শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মুখের বদলে হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করছেন তারা। ফলে দূরের লোকজন ছাড়াও ভবনের উপরতলার লোকজনও শুনতে পাচ্ছেন। তারা প্রয়োজনমতো বটি, চাকু, চাপাতি, শিলপাটা ধার করাচ্ছেন।
Advertisement
তবে এখানেও করোনার হানা। অন্যান্য বছরের তুলনায় কাজ কম বলে জানিয়েছেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বটি ধার দেয়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চাকু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চাপাতি ৪০, আর শিলপাটা ৮০ টাকায় ধার দেয়া হচ্ছে।
মেরুল বাড্ডার আনন্দনগরের খলিলের সঙ্গে কথা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঢাকায় তিনি এ কাজে যুক্ত তিনি।
Advertisement
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘প্রতি ঈদে আমরা অনেক কাজ করি। বিশেষ করে বড় ঈদে (ঈদুল আজহা) অনেক কাজ থাকে। তবে এবার কাজ কম। টুকটাক কাজ করে পেট চালাচ্ছি।’
বাসাবোর গৃহবধূ লিখা আক্তার মোবাইলফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার কোরবানি দেয়ার জন্য ভাগে লোক খুঁজেছি। কিন্তু পাইনি। প্রতিবছর যাদের সাথে কোরবানি দেই এবার তারা দেবেন না। তাই আমরাও কোরবানি দিতে পারিনি। এ কারণে শান দেয়ারও দরকার হয়নি।’
জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে অন্যবারের মতো ব্যস্ততা ছিল না রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কামারদের। করোনার কারণে এবার কোরবানির হাতিয়ার তেমনভাবে বিক্রি হয়নি।
কোরবানির ঈদ এলেই ঢাকা মহানগরীর মুসলমানদের ঘরে ঘরে দা, বটি, ছুরি, কুড়াল ও চাপাতিতে শান দেয়া আর কেনাকাটার ধুম পড়ে। কোরবানির ঈদের সময় গরু, ছাগল, উটসহ বিভিন্ন কোরবানির পশুর মাংস প্রস্তুত করতে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ নানা হাতিয়ারের প্রয়োজন হয়।
Advertisement
এইচএস/বিএ/এমএস