ক্যাম্পাস

নির্মাণ শুরুর দুই যুগ পর টিএসসিসির উদ্বোধন

আজ থেকে প্রায় দুই যুগ আগে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ‘শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ নামের এই ভবনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি এ টিএসসিসি ভবনের উদ্বোধন করেন। তবে ভবনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মী, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের কর্মী ও সংস্কৃতিমনা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই এই টিএসসিসি চালুর দাবি করে আসছিলেন।টিএসসিসির পরিচালক টিএমএম নূরুল মোদ্দাসের চৌধুরী বলেন, ভবনটির অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন ভেতরে সাজসজ্জা, সাউন্ড, লাইট ইত্যাদির কাজ করতে হবে। তিনি জানান, নানামুখি ব্যবহারের উপযোগী করে টিএসসিসি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নাটকের মহড়া, নাটক মঞ্চায়ন, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম সংলগ্ন পানির ট্যাংকের পাশে ১৯৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু অর্থাভাবে নকশা অনুযায়ী ভবনের একটি অংশ নির্মাণের পর এর কাজ থেমে যায়।২০০৪ সালে সরকারিভাবে সোয়া কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর ২০০৫ সালের জুলাই মাসে আবারো পূর্ণাঙ্গ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ পরিদর্শনের জন্য একটি পরিদর্শক দল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দলটি একাধিকবার ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভবনটির নকশাগত ত্রুটির কারণে একে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করে।এরপর ২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কয়েক মাস ধরে কাজ বন্ধ রাখার পর ২০০৬ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করলে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে ৮ অক্টোবর দুপুরে টিএসসিসি ভবনের ছাদের কাঠামো ভেঙে পড়ে। ফলে এটি পরিত্যক্ত একটি ভবনে পরিণত হয়।২০০৯ সালের পরে আবারো নির্মাণকাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে ধীরগতিতে এগোতে থাকে এর নির্মাণ কাজ। অবশেষে ২০১৫ সালে এসে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর ভবনটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে কাজ করে গেছে। ভবনের বাকি কাজ একমাসের মধ্যেই শেষ হবে।রাশেদ রিন্টু/বিএ

Advertisement