করোনা মহামারি ও এর বিস্তার রোধে জাড়ি লকডাউনে বিক্রি শূন্য কিংবা স্থবির হয়ে পড়ায় ভারতের সর্ববৃহৎ গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি মারুতি সুজুকি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে লোকসান করেছে। ২০০৩ সালে সরকারি মালিকানায় আসার পর প্রথমবার লোকসান হলো কোম্পানিটির।
Advertisement
গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছিল ১ হাজার ৩৭৬ কোটি রুপি। কিন্তু এ বছর একই সময়ে ২৬৮ কোটি রুপি লোকসান হয়েছে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, লকডাউনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা, যদিও এই আংশিকভাবে এই সময়ে পরিচালন ব্যয়ও অনেকে কমেছিল।
লকডাউনের কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকায় গত এপ্রিলে মারুতি সুজুকির বিক্রি ছিল শূন্য। তবে লকডাউন শিথিল হতে থাকলে মে মাসে উৎপাদন ও বিক্রয় সীমিত পরিমাণে পুনরায় শুরু হয়েছিল। তবে কোম্পানিটি বলেছে, স্বাভাবিক কার্যক্রম চললে দুই সপ্তাহে বিক্রি হয় দ্বিতীয় প্রান্তিকের বিক্রি ছিল তার সমপরিমাণ।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে মারুতি সুজুকির মোট ৭৬ হাজার ৫৯৯টি গাড়ি বিক্রি হয়; যা গত বছরের একই সময়ে ৪ লাখ ২ হাজার ৬০০ এর তুলনায় ৮১ শতাংশ কম। গত বছরের তুলনায় স্থানীয় বাজারে ৮২ শতাংশ কমে বিক্রি হয়েছে ৬৭ হাজার ২৭টি আর রফতানি ৬৬ শতাংশ কমে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭২টিতে।
Advertisement
এশিয়ান টাইমসের বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মারুতি সুজুকির মুনাফা ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৪ হাজার ১১২ কোটি রুপি। অথচ বিগত অর্থবছরের কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছিল ১৯ হাজার ৩০০ কোটি রুপি।
সুজুকি নয় এ সংকট বেশিরভাগ গাড়ি নির্মাতার। সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছরের জুনে গোটা ভারতে গাড়ি বিক্রি কমেছে ৫১ শতাংশ। সম্প্রতি ভারত সরকার যে ২০ ট্রিলিয়ন রুপির প্রণোদনা ঘোষণা করেছে তাতে বাদ পড়েছে গাড়ি শিল্প।
এসএ/এমএস
Advertisement