আন্তর্জাতিক

উইঘুর অধ্যুষিত জিনজিয়াংয়ে করোনার প্রাদুর্ভাব, ব্যাপক কড়াকড়ি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকিতে ভ্রমণ বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার থেকে চীনের এই প্রাদেশিক রাজধানীতে প্রবেশ এবং সেখান থেকে অন্যত্র ভ্রমণে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

Advertisement

চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে করোনা সংক্রমণের যে ঢেউ শুরু হয়েছে তার বেশিরভাগই ওই শহরে শনাক্ত হয়েছেন। এই প্রদেশে বর্তমানে ৯৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে উরুমকির ভাইস-মেয়র সং ইয়াজুন বলেন, যারা উরুমকির বাসিন্দা নন; যদি তারা শহরটিতে ১৪ কিংবা তারও বেশি দিন অবস্থান করে থাকেন, তাহলে শহর ছেড়ে যেতে চাইলে আগে নিউক্লিক এসিড এবং অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাতে হবে।

এই পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট মিললে তবেই তারা উরুমকি ছাড়তে পারবেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের উরুমকি ছাড়া উচিত হবে না।

Advertisement

সং বলেন, কোভিড-১৯ এর উচ্চ-ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলো থেকে যারা উরুমকিতে আসবেন; তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন মানতে হবে। অন্য যারা এই শহরে প্রবেশ করবেন, তাদের গত সাতদিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে। এছাড়া ভ্রমণকারীরা কোন এলাকা থেকে আসছেন তার ওপর নির্ভর করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি প্রয়োগ করা হবে।

মহামারির উৎপত্তিস্থল চীনে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূঁড়ায় পৌঁছায় গত ফেব্রুয়ারিতে। সেই সময়ের তুলনায় দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এখনও অনেক কম। তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ফিরে আসায় ভাইরাসটি মোকাবিলায় চীনের সাফল্য মলিন হয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার পাইকারি বাজারগুলোতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে, গত মাসে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ের একটি পাইকারি বাজারে করোনা সংক্রমণের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর তা বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

Advertisement

তবে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে সংক্রমণ এবং মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ১৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।

সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।

এসআইএস/এমএস