সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ আরো সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বকশীবাজার এলাকার উমেষ দত্ত রোডে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই মামলার শুনানি গ্রহণ করবেন।এর আগে, গত ২১ অক্টোবর চারজনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। চার সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পরে জেরার জন্য আজ (২৯ অক্টোবর) পরবর্তী দিন ঠিক করে এই আদেশ দেন।এ মামলার জব্দ তালিকার স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নওশাদ মোহাম্মদ, রিলেশনশিপ ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম ও কাস্টমার সার্ভিসেস ম্যানেজার অলোক কান্তি চক্রবর্তীকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। তার আগে গত ১৫ অক্টোবর সাক্ষীরা আদালতে তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। এখন পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন।চারজন সাক্ষ্য প্রদানকারী হলেন সোনালী ব্যাংক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখার ক্যাশ অফিসার ওয়ালিদ আহমেদ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. মামুনুজ্জামান, মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র অফিসার সাইফুল আলম ও মেট্রো মেকার্স কর্মকর্তা চৌধুরী এম এন আলম। আজ আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করবেন।২১ অক্টোবর খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদীন মেজবা ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ হাজিরা প্রদান করেন। এছাড়াও উচ্চ আদালতে ‘লিভ টু আপিল’ থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখেছেন আদালত।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৭ জন। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। তাতে আসামিপক্ষের জেরা অসমাপ্ত রয়েছে।দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।এফএইচ/বিএ
Advertisement