ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। কবজির মোচড়ে দৃষ্টিনন্দন সব ফ্লিক শটের জন্য বিশেষ খ্যাত ছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই করেছিলেন সেঞ্চুরি, দুই ফরম্যাট মিলে করেছেন ১৫ হাজারের বেশি রান।
Advertisement
খেলোয়াড়ি জীবনে যতটা নন্দিত ছিলেন আজহার, ক্যারিয়ারের শেষদিকে হয়েছেন ঠিক ততটাই নিন্দিত। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিং স্ক্যান্ডালের দায়ে আজহারকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০১২ সালে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে সফল হন আজহার।
কিন্তু সেই ২০ বছর আগে ঠিক কেনো তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তা এখনও জানেন না ভারতের হয়ে ৯৯ টেস্ট খেলা এ ক্রিকেটার। এতদিন পরেও তিনি উত্তর খুঁজছেন নিজের নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে। তবে এমন অভিজ্ঞতার জন্য কারও প্রতি তেমন কোনো রাগ-ক্ষোভ নেই আজহারের।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘যা হয়েছে তার জন্য আমি কাউকে দোষারোপ করি না। তবে আমি সত্যিই জানি না কী কারণে আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাই আমি এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেই এবং আমি কৃতজ্ঞ যে ১২ বছর পরে হলেও নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। হায়দরাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হওয়া এবং বিসিসিআইয়ের জিএম মিটিংয়ে থাকার আমার জন্য সন্তোষজনক ছিল।’
Advertisement
২০০০ সালে যাকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল বিসিসিআই, সেই আজহার যখন ২০১২ সালে নির্দোষ প্রমাণিত হন তখন থেকে বিসিসিআই বেশ কয়েকবার তাকে সম্মানিত করেছে। হায়দরাবাদে রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারির নামকরণ করা হয়েছে আজহারের নামে। এছাড়া ইডেন গার্ডেনসে ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজানো এবং পিংক বল ম্যাচে ল্যাপ অব অনারের সম্মান পেয়েছিলেন আজহার।
সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি একটা কালো দাগ হলেও, এ বিষয়ে আফসোস বা আক্ষেপ নেই আজহারের। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। আমি প্রায় ১৬-১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি। অধিনায়কত্ব করেছি ১০ বছরের মতো। এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারি আমি?’
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement