সুনামগঞ্জে জামিন ছাড়াই জেলা কারাগার থেকে তিনজন হত্যা মামলার আসামিকে ছেড়ে দিল কারা কর্তৃপক্ষ। এই আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা আছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।জামিন ছাড়া কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া আসামিরা হলেন, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের পাপলু (১৯), পাটিবাক গ্রামের রুমেন (২০) ও তারেক (১৮)। পুলিশ পাপলু ও রুমেনকে আবার গ্রেফতার করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ভোরে ছাতকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ তার বাড়ির পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে দেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে বিকেলে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ছাতক থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত হন। কিন্তু কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়নি। পরে তিনি কারাগারে যোগাযোগ করে জানতে পারেন আসামিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের আদেশের কপি কারাগারে আসে। আদালত থেকে পাঠানো আদেশে উল্লেখ ছিল, বুধবার আসামিদের আবার হাজির করার জন্য। কিন্তু কারাগারের কর্মকর্তারা মনে করেছেন, আদালত আসামিদের জামিন দিয়েছেন। তাই আসামিদের ছেড়ে দেন তারা। তিনি আরও জানান, আদালতের আদেশের কপিটা দেখতে জামিন নামার মতোই ছিল। এ কারণেই কারাগারের কর্মকর্তারা ভুল করে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যখন আসামিদের খোঁজ করেন, তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে। আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাটি ভুলক্রমে হয়েছে।ছাতক থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ রুমেন ও পাপলুকে আবার গ্রেফতার করেছে। অন্যদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এ ব্যপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. হারুণ অর রশিদ দুই আসামিকে পুনরায় আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, থানা পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।প্রসঙ্গত, গত রোববার ছাতকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ বাড়ির পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই তিনজনকে হাতেনাতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করে ছাতক থানা পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে সুনামগঞ্জে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি
Advertisement