মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর বিশ্বের অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র ১০ হাজার মানুষ হজ পালনের সুযোগের পেয়েছেন।
Advertisement
তাদের মধ্যে মধ্যে মাত্র ৫ জন বাংলাদেশি আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে সরকারি কোনো সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
করোনার কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার সৌদি আরবের বাইরে থেকে পবিত্র হজ পালনে কোনো লোক অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে সৌদি বসবাসকারী বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ এবারের হজে অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে অন্যান্য বছর প্রায় ২৫ লাখ লোক হজে অংশগ্রহণ করতেন, সেখানে সবমিলিয়ে ১০ হাজার লোকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের হজ।
মহামারি করোনার কারণে এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজ পালনকারীদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবার নিশ্চিত করেছে হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষ। আরাফাতের ময়দানে প্রচণ্ড গরম মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্য সেবকদল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Advertisement
করোনাভাইরাসের কারণে এবারের হজের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
বিধি অনুযায়ী, হজ পালনকারীরা কাবা শরীফে ও কালো পাথরে চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না। শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে। হজ পালনকারী ও হজে দায়িত্বপালনকারীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং তা ব্যবহার শেষে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন না কেন দুজনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
হজযাত্রীদের সেবায় এ বছর অন্তত ১৮ হাজার ৪৯০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হজের পবিত্র স্থানগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি নতুন ও পূর্ণাঙ্গ সরঞ্জামে সুসজ্জিত সার্ভিস সেন্টার বসানো হয়েছে। এসব স্থানে ২৪ ঘণ্টা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কমপক্ষে ১৩ হাজার ৫০০ পরিচ্ছন্নকর্মী। মিনায় ৮৭ হাজার ৯০০ আন্ডারগ্রাউন্ড আবর্জনার কন্টেইনার স্থাপন করা হয়েছে।
সৌদি সরকারে এমন কঠোর স্বাস্থবিধি ও নিরাপত্তা মেনে হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজে অংশগ্রহণকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
এমএসএইচ/জেআইএম