অন্তত ঈদের আগে দুই দিন হকারদের ফুটপাতে বসতে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ হকার্স সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় শহরের রাস্তায় শুয়ে পড়েন কয়েকজন হকার। দাবি আদায়ের জন্য নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
Advertisement
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হবে এমন কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না। কাউকে বেআইনি কাজ করতে দেবে না পুলিশ। এতে কেউ যদি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে পুলিশ কঠোর হতে বাধ্য হবে।
বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে শহরের চাষাড়া বঙ্গবন্ধু সড়কে কয়েকশ হকার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। পরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্তত ঈদের আগের দুই দিন উচ্ছেদ না করে ফুটপাতে বসতে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুমতি চান হকাররা। বিক্ষোভ মিছিলে হকারদের নেতৃত্ব দেন মহানগর হকার্স লীগের সভাপতি রহিম মুন্সি ও হকার সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম।
এদিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত ও তার আশপাশের গলি থেকে হকারদের জোর করে মিছিলে টেনে আনতে দেখা যায় কয়েকজন হকার নেতাকে। এ নিয়ে একাধিবার হকারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চাষাড়ায় সুগন্ধা প্লাস রেস্তোরাঁর সামনে এক হকার যুবককে জোর করে মিছিলে নিতে চাওয়ায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একই ঘটনা ঘটে দুই নম্বর রেলগেট ও উকিলাপাড়া এলাকাতেও। টানা দেড় ঘণ্টার বিক্ষোভ মিছিলে বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
Advertisement
পরে হকাররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের এসে জড়ো হন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ করে সড়কের উপর শুয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন হকার। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সদর মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়ান্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক টিম। পুলিশ সড়ক থেকে সরতে বললে হকার নেতাদের নির্দেশে সড়কের একটি লেন ছেড়ে দেন তারা।
সমাবেশে হকার নেতারা বলেন, করোনার কারণে গত রোজার ঈদে আমরা কোনো বেচাকেনা করতে পারিনি। লকডাউনের দুই মাসে আমাদের সমস্ত পুঁজি শেষ হয়ে গেছে। কোরবানির ঈদের আগের এই দুই দিন অন্তত বসতে দিন। আপনারা অমানুসিক কাজ করবেন না, উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করুন। মেয়র আইভী আমাদের মায়ের মতো। আশা করি তিনি আমাদের কষ্ট বুঝবেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ফুটপাত মানুষের হাঁটার জন্য। ব্যবসা করার জন্য নয়। তাদের জন্য তো হকার মার্কেট রয়েছে। তারা ব্যবসা করলে সেখানে গিয়ে করুক। বঙ্গবন্ধু সড়কের কোথাও তাদের বসতে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু সড়ক বাদে অন্য কোথাও তারা বসলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সড়কের দু’পাশ ছেড়ে দিতে হবে।
শাহাদাত হোসেন/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement