বাংলাদেশসহ আটটি দেশের পর্যটন মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের ১৭ জন প্রতিনিধি দুই দিনের সফরে এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। বুধবার বিকেল ৫টায় প্রতিনিধি দলটি ঢাকা থেকে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। পৌঁছেই সোজা ছুটে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। প্রতিনিধি দল সৈকতে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করেন।বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দল সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। এসময় সফররত জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডাব্লিউটিও) মহাসচিব তালেব রিফাই সাংবাদিকদের জানান, সত্যিই চমৎকার একটি সমুদ্র সৈকত। এটি বেশ ভালো লেগেছে আমার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবো। আপনারা শীঘ্রই তা দেখবেন আশা করছি। আমি পর্যটন নিয়ে বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ করবো।বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ভুটানের পর্যটন মন্ত্রী লিউনপো নরভো ওয়ানচুক সাংবাদিকদের বলেন, আমি এ জীবনে পৃথিবীর অনেক সমুদ্র সৈকত দেখেছি। তন্মধ্যে কক্সবাজারের মতো এমন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সৈকত আর দেখিনি। আমি নিশ্চয়ই আমার দেশে কক্সবাজার সৈকতের সৌন্দর্যের কথা জানিয়ে দেব।প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী ও কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।চীন, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, নেপাল ও ভুটানসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা সৈকত পরিদর্শনের পর রাত আটটা থেকে কক্সবাজার সাগর পাড়ের তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসে এক মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার রামুতে বৌদ্ধ পুরাকীর্তি বৌদ্ধদের ঐতিহাসিক স্থান, বিহার, মন্দির ও জাদি পরিদর্শন করবেন। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/আরআইপি
Advertisement