দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। বুধবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত সর্বমোট তিন হাজার ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৩৮৮ জন (৭৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং নারী ৬৪৭ জন (২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ)।
Advertisement
শুরুর দিকে মৃত্যুর হিসাবটা শুধু রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, দেশের আট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এখানে মারা গেছেন ৭৭৫ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪৩ জনের। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে রাজধানী ঢাকাকে ছাড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৬৫ জন।
এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭৬, রংপুর বিভাগে ১১৮, খুলনা বিভাগে ২১৮, বরিশাল বিভাগে ১২৫ এবং সিলেট বিভাগে ১৪৬ জন মারা গেছেন।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস পাওয়া গেছে আরও তিন হাজার নয়জনের দেহে। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন।
দেশে গত ২১ জনুয়ারি প্রথম করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। শুরুর দিকে শুধু স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হলেও বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় ৪৬টি এবং ঢাকার বাইরে ৩৬টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা চলছে।
আজ (২৯ জুলাই) পর্যন্ত মোট ১১ লাখ ৫১ হাজার ২৫৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এমইউ/এমএআর/পিআর
Advertisement