বিদেশি পাঠ্যক্রমে পরিচালিত দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও শিক্ষাবোর্ড এবং মাউশির ৯ আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোকে নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের (সাধারণ শিক্ষাবোর্ড) কাছ থেকে সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক। সারাদেশে নিবন্ধিত ও নিবন্ধন ছাড়া কতগুলো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সে তথ্য জানাতেও বলা হয়েছে।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, বেশির ভাগ স্কুলই নিবন্ধন না করে নিজেদের মতো করে চলছে। এতে কোনো জবাবদিহি থাকছে না। আবার প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর প্রকৃত তথ্যও সরকারের কাছে থাকে না।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৪৫টি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। এসব বিদ্যালয়ের বিষয়ে ২০১৭ সালে নিবন্ধন বিধিমালা হলেও সেটি প্রকৃতপক্ষে কার্যকর হয়নি।
Advertisement
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পত্রে বিধিমালার ১৯ (৩) ধারাটি মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিদ্যালয়ে সহপাঠ কার্যক্রম পরিচালনা, কোনো বিশেষ সুবিধা এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে; তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ ব্যয় বিবরণী অভিভাবকদের লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
অভিভাবকদের অভিযোগ এসব ফির তথ্য তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে জানানো হয় না।
এ ছাড়া নির্দেশনা পত্রে, সাময়িক নিবন্ধন আবেদন ফরমে প্রতি মাসে বা বছরে শ্রেণিভেদে আদায় করা টিউশন ফি, ভর্তি ফি, খেলাধুলা ফি, গ্রন্থাগার ফি, টিফিন ফি, মুদ্রণ ফি এবং অন্যান্য ফির পরিমাণ ও বিবরণী উল্লেখ করার নিয়ম আছে বলেও জানানো হয়েছে।
এমএইচএম/এএইচ/পিআর
Advertisement