বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিধান থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ওই শর্তপূরণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় বাড়াতে লিখিত মতামত দিয়েছে।
Advertisement
বুধবার (২৯ জুলাই) আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ সংক্রান্ত মতামত দিয়েছে। এর আগে দল নিবন্ধন সংক্রান্ত আরপিওর ধারা তুলে নিয়ে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০’ নামে নতুন আইন করার উদ্যোগ নেয় ইসি। এরপর এ খসড়া আইনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত আহ্বান করে। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ এ মতামত জানায়। যাতে নতুন আইনে ২০২০ সালের পরিবর্তে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
অবশ্য ইসির খসড়া নিবন্ধনের নতুন আইনে দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণের বিষয়ে সময়ের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে দলগুলো নিজের গঠনতন্ত্রে কতদিনের মধ্যে নারী সদস্যপদ পূরণ করবে, তা উল্লেখ করবে এবং ইসিকে সেই প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের কাছে এ মতামত দেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাবও দাখিল করেন।
Advertisement
এসব জমা নেয়ার পর নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দলের ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণের বিধান প্রস্তাবিত নতুন আইনে রাখার জন্য মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, মতামতগুলো মিশ্র। কেউ বলেছে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা সময় বেঁধে দেয়ার জন্য। কেউ বলেছে নারী সদস্যপদ পূরণে সময় আর না বাড়াতে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও তারা মতামত দিয়েছে। আমরা একীভূত করছি। এরপর কমিশনের কাছে দেয়া হবে।
সচিব বলেন, ৩১ জুলাই মতামত দেয়ার সময় শেষ। সময় বাড়ানো হবে না। এরপরই যৌক্তিক মতামতের ভিত্তিতে নতুন দল নিবন্ধন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement