আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প শেয়ারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গায়েব ভাইরাল ভিডিও

একদল চিকিৎসক করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার একটি ভাইরাল ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব। গত সোমবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পুত্র ট্রাম্প জুনিয়রও। তাদের কারও অ্যাকাউন্টেই এখন আর ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

জানা গেছে, বিতর্কিত ভিডিওটি প্রকাশ করেছিল ব্রেটবার্ট নিউজ নামে একটি ডানপন্থী মিডিয়া। ভিডিওতে দেখা যায়, নিজেদের ‘আমেরিকার অগ্রগামী চিকিৎসক’ (আমেরিকা’স ফ্রন্টলাইন ডক্টরস) দাবি করে গায়ে সাদা ল্যাব কোট পরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে সংবাদ সম্মেলন করছে একটি গ্রুপ। এসময় এক বক্তা নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বেশ কিছু ভুল ও বিতর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন; যেমন- করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মাস্ক পরার দরকার নেই, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ার গবেষণা ‘ভুয়া ওষুধ কোম্পানির ভুয়া বিজ্ঞান’।

করোনা সম্পর্কে ওই নারী বলেন, ‘এই ভাইরাসের চিকিৎসা আছে, এটাকে বলা হয় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, জিংক ও জিথ্রোম্যাক্স। আপনার মাস্ক পরার দরকার নেই, এর চিকিৎসা আছে।’

ভিডিওতে ম্যালেরিয়ার ওষুধটিকে করোনার চিকিৎসায় কার্যকর দাবি করা হলেও বাস্তবে একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সঙ্গে বা আলাদা যেভাবেই দেয়া হোক তা ১৫ দিনের মধ্যে করোনা রোগীদের অবস্থার উন্নতিতে কোনও স্বস্তিকর ভূমিকার রাখছে না। বরং এর কারণে হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

ভিডিওটি ফেসবুকে অত্যন্ত দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। সোমবার রাতে মুছে ফেলার আগ পর্যন্ত অন্তত ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ সেটি দেখেছেন, শেয়ার হয়েছে ছয় লাখের বেশি। টুইটার এবং ইউটিউবেও অসংখ্যবার দেখা এবং শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি। এ দু’টি মাধ্যমও নীতি লঙ্ঘনের দায়ে ভিডিওটি সরিয়ে নিয়েছে।

আমেরিকা’স ফ্রন্টলাইন ডক্টরস-এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, গ্রুপটির নেতৃত্ব রয়েছেন ডা. সাইমন গোল্ড। তিনি আগে থেকেই করোনা প্রতিরোধে ঘরে থাকার নীতির বিরোধিতা করেছেন।

এছাড়া, সোমবারের ভাইরাল ভিডিওতে ডা. স্টেলা ইমান্যুয়েল নামে একজনকে দেখা গেছে। এ ফিজিশিয়ান তার ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে শেয়ার করা ভিডিওতে স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা, গর্ভপাত এবং পুরুষত্বহীনতার জন্য ‘অত্যাচারী আত্মা’র সঙ্গে যৌন সম্পর্ক দায়ী বলে উদ্ভট দাবি করেছেন।

সূত্র: সিএনএন

Advertisement

কেএএ/জেআইএম