সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন প্রতাপ রায়। মৃত্যুর পর আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেননি। মৃত ব্যক্তির ভাইয়ের অভিযোগ, এলাকার মানুষ হুমকি দিচ্ছে এলাকায় যেন লাশ আনা না হয়। এমন ঘটনায় বিপাকে পড়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে লাশ রেখে বাড়িতে ফিরে এসেছেন মৃতের ছোট ভাই।
Advertisement
মৃত প্রতাপ রায় (৫০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের গৌর রায়ের ছেলে। তিনি ঝাউডাঙ্গা বাজারের সাইকেল মিস্ত্রি।
মৃতের ছোট ভাই পলাশ রায় বলেন, জ্বর ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত বড় ভাই প্রতাপ রায়কে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ভর্তির পর সকাল ৯টার দিকে মারা যান। মারা যাওয়ার পর আমি ও আমার আরেক ভাই সেখানে ছিলাম। তার লাশ বাড়িতে আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আত্মীয়-স্বজন কেউ এগিয়ে আসেনি। এলাকাবাসী বলেছে, লাশ যেন এলাকায় না আসে। বাধ্য হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ ফেলে বাড়ি ফিরে এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মণ্ডলকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
Advertisement
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক মুখপাত্র ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, তারা হিন্দু মানুষ। তাদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন লাশ এলাকায় নিতে বাধা দিচ্ছে। এলাকাবাসী জানিয়ে দিয়েছে শ্মশানঘাটে লাশ নেয়া যাবে না। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে লাশটি হাসপাতালে ফেলে গেছেন। তবে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষার পর লাশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির করোনা উপসর্গ ছিল। তবে করোনা পজিটিভ কি-না সেটি নিশ্চিত নয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার শরীরে করোনা ছিল কি-না রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে।
আকরামুল ইসলাম/এএম/এমকেএইচ
Advertisement