সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল বাড়ার পর নতুন করে বেতন বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে এ বৈষম্য দূরীকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীম আরা বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
আবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডের পরিবর্তে ১১তম গ্রেড ও সহকারি শিক্ষকদের ১৫তম গ্রেডের পরিবর্তে ১৩তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তনের নির্দেশনা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শিক্ষকদের বর্তমান মূল বেতনের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের ফলে অনেক শিক্ষকের বেতন কমে যাচ্ছে। এতে তারা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সে কারণে মাঠ পর্যায়ে বেতনের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। তাদের বেতন উন্নীত করা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হওয়া সত্বেও শিক্ষকদের মূল বেতনের নিম্ন ধাপ নির্ধারণের কারণে পাঠ পর্যায়ের শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বলা হয়েছে, বেতন স্কেল উন্নীতকরণ ও বেতন নির্ধারণের বিষয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে প্রাধানমন্ত্রীর সচিবের নির্দেশে তারা অর্থ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। অর্থ সচিব উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণের বিষয়ে শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার পদধারীদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণে এমন সমস্যার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা দেয়। একই নির্দেশনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট অসন্তোষ নিরসন হবে। তাই শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও বেতন স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নিধারণে অর্থ বিভাগ থেকে অনুরূপ নির্দেশনা জারির জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমএইচএম/এনএফ/এমএস
Advertisement