ভাবছেন, ঘুমের সঙ্গে আবার ত্বকের সম্পর্ক কী? সম্পর্ক তো রয়েছেই। কারও চোখের নিচে কালি দেখলেই বলে দেয়া যায়, ঘুম কম হয়েছে! ঘুম কম হলে ত্বকে ক্লান্তভাব ফুটে ওঠে। আমাদের সচল ও সজীব রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ঘুম। ঘুম ভালো হলে সারাদিন নিজেকে চাঙ্গা মনে হয়, পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে আমাদের ত্বকও। ঘুমের সমস্যা আমাদের ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে; ব্রণ, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে অ্যালার্জি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সমস্যাগুলোকে বাড়াতে পারে। বোল্ডস্কাই জানাচ্ছে ঘুম কম হলে তা ত্বকে কীভাবে প্রভাব ফেলে-
Advertisement
যখন পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তখন আমাদের ত্বক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে এবং নিস্তেজ ও শুষ্ক হয়ে যায়। কারণ ঘুমের অভাবে করটিসলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি একটি হরমোন যা, ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে।
নিদ্রাহীনতার একটি বড় প্রভাব হলো - ত্বকে ব্রণ, পিম্পল ইত্যাদি হওয়া। ঘুমের অভাব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় এবং এর ফলে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়াও, ঘুমের অভাবে ত্বকের প্রদাহ বৃদ্ধি পায়।
ঘুমের সমস্যার কারণে ত্বকের ধরনও খারাপ হতে পারে। সুতরাং, আপনি যদি ব্রণ বা অন্য কোনো ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনার ঘুমের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। রাতে ভালো ঘুম হলে ত্বক দ্রুত নিরাময় হবে।
Advertisement
ত্বককে সতেজ করতে এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সঠিক ঘুম জরুরি। কম ঘুম ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন হ্রাস করে এবং ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে।
চোখের নিচের অংশ সংবেদনশীল তাই এটি সহজেই আক্রান্ত হয়। ঘুমের অভাব হলে তা সাধারণত চোখের নিচের অংশেই প্রতিফলিত হয়। সাধারণত চোখের তলায় কালি বেশি দেখা যায়। এটি আপনার পুরো চেহারাকে নষ্ট করতে পারে, তাই এগুলি হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়।
ঘুমের সমস্যা আপনার ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের অভাব স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কারণ, ঘুমের অভাব আরও বেশি ক্ষুধার্ত করে তোলে। এসব কিছু আমাদের ওজন বাড়াতে পারে।
এইচএন/এএ/এমএস
Advertisement