বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালতে এ বিষয় শুনানি হবে।
শনিবার (২৫ জুলাই) শারমিনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শারমিনের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল এবং জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শারমিন জাহানকে শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Advertisement
বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ।
বিএসএমএমইউয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় গত ৪ জুলাই। প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তৃতীয় ব্যাচেই বাধে বিপত্তি। অভিযোগ ওঠে তাদের দেয়া হয় নকল এন-৯৫ মাস্ক। নকল মাস্কগুলোতে লেখা ভুল, লট নম্বর নেই। আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল’কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দেয় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহান। তারা বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, ‘নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেখানে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
Advertisement
জেএ/জেডএ/এমএস