করোনা মহামারিতে ক্ষমতাসীনরাই সুখে আছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা ভালো থাকার জন্য দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুনেছি তাদের অনেকেরই কানাডায় বাড়ি আছে, কারো নাকি ‘সেকেন্ড হোম’ আছে মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে দিয়ে তারা অত্যন্ত সুখে আছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে সংগঠনের শিল্পীদের ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির অবস্থা তুলে ধরে রিজভী বলেন, বিএনপি হলে তো কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই। তার চাকরি থাকবে না, ভালো জীবনযাপনের ব্যবস্থা থাকবে না, তার কিছুই থাকবে না। সে বাড়িতে থাকতে পারবে না, এলাকায় থাকতে পারবে না, পরিবারের সাথে থাকতে পারবে না, এমনকি ঈদের মধ্যেও বাড়ি ফিরতে পারবে না। তাকে অসংখ্য মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া, গ্রাম ছাড়া করা হচ্ছে। আজকে শফিউল বারী বাবু মারা গেলেন। কত সংগ্রাম, চড়াই–উতরাই, স্বৈরাচারের কত উৎপীড়ন সহ্য করেছেন তিনি। সেই নেতৃত্বকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। এই যে মৃত্যু, এই যে লাশ, এই যে দাফন, এর মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন কাটছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই আওয়ামী লীগের পাত্তা থাকবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনকে তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী মার্কা নির্বাচনে ভোটার দরকার পড়েনি, সেই নির্বাচনকে তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে। সুতরাং এখানে নাগরিক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে কেন? মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে তো কথা বলতে হবে। এই যে অন্যায়, অনাচার, এই যে জিকেজি, রিজেন্ট হাসপাতাল, এই যে করোনার জাল সনদ, এগুলোর বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার। সেই কারণে গণতান্ত্রিক অধিকার যে অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা এত রক্ত দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই টার্গেট করে গণতন্ত্র।
Advertisement
পরে রিজভী শিল্পী-কলাকৌশলীদের ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোবাইল টেলিফোনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ইথুন বাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, মীর সানাউল হক, হাসান চৌধুরী, আরিফুর রহমান মোল্লা, আবদুল হান্নান মাসুম, রফিকুল ইসলাম স্বপন, চৌধুরী আজহার আলী শিবাসানু, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement