চীনের ছেংতু শহরে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট অবশেষে বন্ধই হয়ে গেল। সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণেই ওই কনস্যুলেট বন্ধ হয়ে গেছে।
Advertisement
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির খবর অনুযায়ী, সোমবার সকালের দিকে ওই কনস্যুলেট ভবন থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে আনা হয়। মার্কিন মেধাস্বত্ত্ব চুরি এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট বন্ধে ওয়াশিংটনের নির্দেশ আসার পর বেইজিংও পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। শুক্রবারই ছেংতুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয় বেইজিং।
এরপরেই রোববার ওই কনস্যুলেটের কর্মীরা সেখান থেকে সরে যেতে শুরু করেন। পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশের পর চীনের ছেংতু শহরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কর্মীরা চীন ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। চীন সোমবারের মধ্যে এই কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরই সেখানকার কর্মকর্তারা কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ভবন খালি করতে শুরু করেন।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন বলছে, রোববার তিনটি মালবাহী ট্রাক মার্কিন কনস্যুলেট ভবন এলাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ সময় ইউনিফর্ম পরিহিত ও সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মীরা রাস্তায় টহল দেন।
Advertisement
এদিকে, মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, সোমবার সকাল ১০টা থেকে কনস্যুলেটটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৯৮৫ সালে ছেংতুর এই কনস্যুলেটটি স্থাপিত হয়েছিল, সেখান থেকে তিব্বতসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করা হতো।
এই কনসুলেটে দুইশ'র বেশি স্থানীয় কর্মী কাজ করতেন। এটি বন্ধ করে দেয়ার পর বেইজিংয়ে দূতাবাসের বাইরে মেইনল্যান্ড চীনে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি কনস্যুলেট থাকছে। পাশাপাশি হংকংয়েও একটি কনস্যুলেট রয়েছে।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement