২১ কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত মোট ৯৬৩ জন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ কর্মকর্তাসহ মোট ৫৯৯ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন, সুস্থতার হার ৬২ শতাংশের বেশি।
Advertisement
বাহিনীটিতে সারা দেশের তুলনায় রাজধানী ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৬৯ জন।
করোনার সংকটকালে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা। করোনায় সকল সদস্যকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রীসহ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ।
রোববার (২৬ জুলাই) রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন বলেন, করোনাভাইরাস হতে দেশের মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছে বাহিনীর সদস্যরা। করোনাকে ভয় না করে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মানবিক সেবা দিতে গিয়ে এ বাহিনীতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।
Advertisement
মৃত্যুর ভয় জয় করে মানবিক সেবাসহ দায়িত্ব-কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের সুনাম অর্জন করেছে এ বাহিনীর সদস্যরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাহিনীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। বাহিনীতে এই পর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৩ জন। আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন কর্মকর্তা ২১ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ৩৫৬, মহিলা আনসার ৩, সাধারণ আনসার ৫৩৭, কর্মচারী ৭, ভিডিপি সদস্য ১৬, বিশেষ আনসার ৪, উপজেলা প্রশিক্ষক ৮, উপজেলা প্রশিক্ষিকা ৩, হিল আনসার ৫ এবং উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার ৩ জন।
বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইনে আছেন বাহিনীর ২১১ জন সদস্য। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪৬ জন সদস্য। এ পর্যন্ত বাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ মোট ৭ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
সুস্থ ৫৯৯ জনের মধ্যে রয়েছেন- কর্মকর্তা ৫ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ১৮৩, সাধারণ আনসার ৩৮৬, কর্মচারী ৪, মহিলা আনসার ২, ভিডিপি সদস্য ৬, উপজেলা আনসার কমান্ডার একজন, বিশেষ আনসার ৪, হিল আনসার ৪ এবং উপজেলা প্রশিক্ষক ৪ জন।
Advertisement
জেইউ/এফআর/জেআইএম