সাহিত্য

তোমাকে না লেখা চিঠিটা

ইসরাত জাহান ইমা

Advertisement

‘এই, এতো অস্থির কেন?’ বিশ্বাস করো, তোমার এই প্রশ্নের উত্তর আজও আমার অজানা। কিন্তু জানো তো, আমি আজও ভীষণ রকমের খেয়ালী।

ফাগুনের শেষ দিনটা আমার কেমন অস্থিরতায় কেটেছে তুমি জানবেও না। ওই মাতাল গোধূলী লগ্নে নিদারুণ চিত্তদাহে আমি তোমাকে খুঁজেছি, বাগান বিলাসের রঙে রঙে, নয়নতারার মধুর শিহরণে, ফাগুনের পাগল করা মৃদুমন্দ বাতাসে, আরও খুঁজেছি আকাশের ছুটে চলা মেঘপুঞ্জে।

অথচ এই আমি চাইলেই যান্ত্রিকতায় মুঠো ভরে ভালোবাসতে পারতাম সেই তোমাকে। কিন্তু ভীষণ পাগলাটে আমি, আমার তো যান্ত্রিকতার তোমাকে চাই না। আমার চাই ফাগুনের আকাশে-বাতাসে গুনগুনিয়ে চলা আমার বুকের প্রমত্ততাকারীকে। হন্যে হয়ে খুঁজলাম, খুঁজে খুঁজে আরও দিশেহারা হলাম।

Advertisement

সেই বৈশাখের তাণ্ডবের পর তুমি কিছুটা নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছিলে। কিন্তু ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় আবার উন্মোচিত হলে। মাঝখানে কতোগুলো ঋতু বদলালো, আমার মনের রং বদলায়নি। সকল অনিত্য, অস্থিরতা ছাপিয়ে চাই তোমার ভালো থাকা। ঠিক যেমনটা করে আমায় ভালো থাকতে বলো।

ভালো থেকো আমার প্রিয় অমত্ত, প্রিয় প্রিয়াত্মা।

লেখক: শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

এসইউ/এএ/এমএস

Advertisement