দেশজুড়ে

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা কেড়ে নেয়া হবে

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, তা ফেরত নেয়া হবে। বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ে নব-নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করা হবে। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যেসব চিকিৎসক-নার্স সেবা দিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী, যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন-তারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসবেন।আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, অতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা হয়নি। অমুক্তিযোদ্ধারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এটা জাতির জন্য লজ্জার। ১৯৯৬ সালে যথার্থ একটি তালিকা হয়েছিল। কিন্তু চার দলীয় জোট ক্ষমতায় এসে বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ৪৪ হাজার লোকের তালিকা তৈরি করেছিল। একবার তালিকা তৈরি হয়ে গেলে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া আছে। তদন্ত করতে হয়। তালিকাভুক্ত করা যত সহজ, বাদ দেয়া তত কঠিন। পর্যায়ক্রমে আইনানুগভাবে তদন্ত করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আদালতে একটি রিট আবেদন হওয়ায় আপাতত এ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে।মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের বিরুদ্ধে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জীতেন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ।উল্লেখ্য, প্রায় এক কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও শহরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করে গণপূর্ত অধিদফতর।মন্ত্রী পরে বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় যোগদান করেন।রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/আরআইপি

Advertisement