দেশজুড়ে

হাটে ছাগল আছে ক্রেতা নেই

আর অল্প কিছুদিন পরই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরের শতবর্ষী বাড়াদির ঐতিহ্যবাহী ছাগলের হাট এখন ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট। ক্রেতারা বলছেন হাটে ব্যাপক ছাগল আমদানি হচ্ছে। দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় পছন্দসই ছাগল কিনতে পারছেন তারা। তবে বিক্রেতাদের দাবি এবার করোনার কারণে হাটে ছাগল বেচাকেনা কম, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত দামও। তারপরও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী বাড়াদি ছাগলের হাটটিতে। ব্ল্যাকবেঙ্গল গট নামে পরিচিত মেহেরপুরের ছাগল। যার চাহিদা সারা দেশজুড়ে। মেহেরপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্বে ঐতিহ্যবাহী বাড়াদি ছাগলের হাটে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এখন প্রচুর পরিমাণ ছাগল আমদানি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাচ্ছেন বাড়াদি ছাগলের হাটে।

Advertisement

মেহেরপুর জেলায় এ বছর ৫৯ হাজার ৮৬৩টি খাসি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদা ৪৫ হাজার ৫২০টি ছাগল। ছাগলের এ হাটটি মেহেরপুর সদরের বাড়াদি বাজারে অবস্থিত। শনি ও বুধবার হাটটি বসে। আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার সবচেয়ে বড় হাট হিসেবে বাড়াদি ছাগলের হাটের নামডাক রয়েছে। ছাগলের পাশাপাশি ভেড়াও কেনাবেচা হয় এখানে।

শনিবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, হরেক রমক আকার ও বর্ণের দেশি ছাগল রয়েছে হাটে। হাট ইজারাদর ইসরাফিল আলম বলেন, দেশি ছোট জাতের ছাগলের সংখ্যা ৭৫ শতাংশ। বাকি ১৫ শতাংশ ক্রস রাম ছাগল। ১০ শতাংশ ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল হাটে কেনাবেচা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় কোরবানির জন্য ছাগলের চাহিদা অনেকাংশে বেড়েছে তবে করোনার কারণে ক্রেতা অনেক কম।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম পাঁচটি ছাগল নিয়ে হাটে প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রেতার অপেক্ষায়। অনেকে আসছেন ছাগল দেখছেন তবে আশানুরপ দাম না পাওয়ায় দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনটি ছাগল বিক্রি করতে পেরেছেন।

Advertisement

কোরবানির ছাগল কিনতে আসা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার ক্রেতা আসমানি হাবিব জানান, কুরবানির ছাগল কিনতে এসেছি। বাজার ভালো। দাম আমাদের নাগালের মধ্যেই আছে।

অপরদিকে ছাগল বিক্রেতা শিশির রায়হান জানান, করোনার কারণে মানুষের আয় রোজগার কম। কোরবানি দেয়ার লোকও কম। তাই এবার হাটে ছাগল বিক্রি হচ্ছে কম।

হাট ইজারাদার ইসরাফিল আলম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে ছাগল কেনা বেচার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তবে এত ভিড়ে সব নিয়ম মানা সম্ভব হচ্ছে না। হাটে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা কাজ করছে। করোনার কারণে এবার ছাগল বেচা কেনা কম।

আসিফ ইকবাল/এফএ/পিআর

Advertisement