খেলাধুলা

বাংলাদেশের সেই ম্যাচের ভিডিও এখনও দেখেন ভারতীয় অলরাউন্ডার

এমন দিন তার জীবনে আর আসেনি। আর হয়তো আসবেও না কখনও। বাংলাদেশের সেই ম্যাচটি তাই হৃদয়ের মধ্যেই গেঁথে রেখেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি। দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি যে এখনও তারই দখলে।

Advertisement

অথচ ২০১৪ সালের জুনে সেই ম্যাচটি হতে পারতো বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদের। অভিষেকেই আগুনঝরানো বোলিংয়ে (৫/২৮) ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের দলকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ এই পেসার। কে জানতো, পরের সময়টায় দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে স্বাগতিকদের!

১০৬ রানের লক্ষ্য। হেসেখেলেই তো জেতার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেটা হলো না। উল্টো বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে বড় এক লজ্জায় পড়তে হলো, মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হলো টাইগাররা। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৭ রানের হার দেখল মুশফিকুর রহীমের দল।

স্বাগতিকদের স্বপ্নভঙ্গের আসল হোতা ছিলেন ভারতের অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি। ম্যাচে ৪.৪ ওভার বল করে মাত্র ৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। তাতেই অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি জিতে যায় ভারত।

Advertisement

বিনির ক্যারিয়ারে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় সাফল্য। ১৪ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে আর কখনই ৫ উইকেটের দেখা পাননি তিনি। স্বভাবতই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি এখনও মনের মধ্যে ধরে রেখেছেন।

স্পোর্টসক্রীড়ার সঙ্গে আলাপে ভারতীয় এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘সত্যি করে বলতে, ওই ম্যাচের ভিডিও দেখলে এখনও আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। এর চেয়ে ভালো দিনের কথা আর ভাবা যায় না। এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল যাতে আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি, প্রথম বল থেকেই চাপে ছিলাম। উইকেট খুব খারাপ ছিল না, তবে বৃষ্টির কারণে আমাদের বারবার বিরতি দিতে হয়েছিল।’

স্টুয়ার্ট বিনি যোগ করেন, ‘কভার বারবার ঢাকা হচ্ছিল, আর সরানো হচ্ছিল। পিচে কিছুটা আর্দ্রতা ছিল, যেটা আমার বোলিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ওই দিনের উইকেটটা আমার বোলিংয়ের সঙ্গে এতটাই মানানসই ছিল, এর চেয়ে ভালো আর হতে পারতো না।’

বিনির এই রেকর্ডের আগে ওয়ানডেতে ভারতের পক্ষে সেরা বোলিং ছিল কিংবদন্তি লেগস্পিনার অনিল কুম্বলের। ২১ বছর সেটি অক্ষুন্ণ ছিল। তিনিও কর্ণাটকেরই ক্রিকেটার। বিনিকে সঙ্গে সঙ্গেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কুম্বলে।

Advertisement

ভারতীয় অলরাউন্ডারের সে স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘অনিল ভাইয়ের রেকর্ড ভাঙা ছিল আমার জন্য বিশেষ কিছু। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ওঠার আগে আমি জানতামই না রেকর্ডটা ভেঙেছি। আমি একটা মেসেজও পেয়েছিলাম যেখানে তিনি লিখেন-অভিনন্দন। কর্ণাটকের কেউ রেকর্ডটা ভেঙেছে দেখে আসলেই খুব ভালো লাগছে।’

এমএমআর/এমকেএইচ