মহামারি করোনা মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতি আমূল বদলে দিয়েছে। নতুন এক স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে গোটা বিশ্বের মানুষকে। তবে করোনার প্রকোপ শেষ হলেও পৃথিবীর মানুষ তার পুরনো অভ্যাসে আর জীবনযাপন করতে পারবে না। তাতে খাপ খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
Advertisement
নতুন এই স্বাভাবিক পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, ইতোমধ্যে দেড় কোটিরও বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটানো এবং ৬ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোভিড-১৯ এর আরও বিস্তার যাতে না ঘটে তার জন্য আমাদের প্রত্যেককে ভূমিকা রাখতে হবে।
কোভিড-১৯ বিশ্বের শত কোটি মানুষের জীবন মারাত্মক এক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে জানিয়ে ডব্লিউএইচ মহাপরিচালক টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাইছে কিন্ত আমরা আর আমাদের পুরনো স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে ফিরে যেতে পারবো না।’
ডব্লিউএইচ মহাপরিচালক পরামর্শ দিয়ে বলছেন, ‘আমরা যেভাবে জীবনযাপন করতাম এই করোনাভাইরাস মহামারি ইতোমধ্যে আমাদের সেই যাপিত জীবনের ধরন পাল্টে দিয়েছে। যদি আমরা নিরাপদে আমাদের জীবনযাপন করতে চাই তাহলে এর জন্য আমাদের নতুন স্বাভাবিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে।’
Advertisement
তিনি বলছেন, ‘আমাদের এটা অবশ্যই মনে রাখা উচিত, বেশিরভাগ মানুষ এখনও ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যতই এর বিস্তার ঘটবে ততই এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়বেন সবাই। আপনি যেখানে বাস করছেন সেখানে সংক্রমণ কম মানে আপনি কিন্তু নিরাপদ নন। সাবধানে থাকুন।’
আপনার বয়স কতো কিংবা আপনি কোন অঞ্চলের বাসিন্দা এসব বিবেচনায় না রেখে আমাদের প্রত্যেককেই এমন একটি মহামারি হারানোর কাজে ভূমিকা রাখতে হবে, যেন আমরা আমাদের জীবনে ফিরতে পারি। এমন আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির প্রধান।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা বর্ণবাদী বৈষম্য নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনগুলোতে তরুণদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। এখন বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলনে আমরা তরুণদের চাই। এমন একটি বিশ্ব গড়ার আন্দোলন যেখানে স্বাস্থ্য কোনো সুবিধা নয় মানবাধিকার হবে।’
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement