দেশজুড়ে

প্লাজমা দিতে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ৫৬ পুলিশ সদস্য

‘করোনাজয়ী পুলিশের প্লাজমায় বাঁচুক অন্যের জীবন, জাগ্রত মানবতায় দৃঢ় হোক পুলিশ জনতার বন্ধন।’ এই স্লোগান নিয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের আরও ৫৬ জন করোনাজয়ী সদস্য ঢাকায় এসেছেন। শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশের একটি বাসযোগে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ত্যাগ করেন।

Advertisement

এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। পরে তাদের সবাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজিম-উল-আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুপার নাজমুল হাসান, জেলা ডি আই-১ মো. মাইন উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পৃলিশ সুপার বলেন, স্বাধীনতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে প্রজাতন্ত্রের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সরকারের একটি অনুগত বাহিনী হিসেবে করোনাযুদ্ধে বিগত ৪ মাসে জেলার প্রতিটি সাধারণ জনতার পাশে থেকেছে। অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মহামারি করোনাকে মোকাবেলা করে জনতার আস্থা অর্জন করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এতে আমি একজন পুলিশ সুপার হিসেবে সত্যিই গর্ববোধ করছি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, যেখানে করোনায় মারা যাওয়া বাবা-মায়ের দাফন-কাফনে সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসেনি, সেখানে পুলিশ এগিয়ে এসে মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন সম্পন্ন করেছে। এমনকি বিদেশফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে দিনরাত করোনা মহামারিতে কাজ করেছে পুলিশ। এতে করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকতে হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২য় পর্যায়ে প্লাজমা দিতে যাওয়া করোনাজয়ী ৫৬ পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুইজন পরিদর্শক, এসআই ১২ জন, এএসআই ১৫ জন ও কনস্টেবল ২৭ জন রয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুলাই ২৭ জন পুলিশ সদস্য প্লাজমা ডোনেট করেন। দেশের মধ্যে এ জেলা থেকেই কুমিল্লা পুলিশের সর্বোচ্চ সংখ্যক মোট ৮৩ জন প্লাজমা ডোনেট করতে ঢাকায় যান। করোনাকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত ২০৮ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

কামাল উদ্দিন/আরএআর/জেআইএম

Advertisement